Shwapnoghori - Ahmed Firoze

স্বপ্নঘড়ি আহমেদ ফিরোজ ছেলেটি মেয়েটিকে বলল, তুমি কি স্বপ্নঘড়ি পরবে? মেয়েটি ঠোঁটের কোণে একবিন্দু হাসি ঢেলে বলল, ও স্বপ্নঘড়ি! দেবে তুমি? ছেলেটি সম্মতিসূচক মাথা দোলাল। মেয়েটি পুনশ্চ হাসি ছুঁড়ে দিল ছেলেটির অস্ফুট চোখের কাচে। ছেলেটি বড় বড় চোখ করে তাকাল—নদীর জোয়ার জলের মতন শীতলোষ্ণতায়। মেয়েটি সলাজে চোখ নিচু করল। ছেলেটি হাত বাড়াল, মেয়েটি ছেলেটির হাত থেকে স্বপ্নঘড়ি পরে নিল। ছেলেটি মেয়েটির গলায় চাঁদঘড়ি পরিয়ে দিল, ঠোঁটে কাঁপনঘণ্টা, চোখে আলোঘণ্টা, মাথায় সূর্যটিকলি। মেয়েটি নরম করে হাসল। ছেলেটি ঠোঁট মেলাল। মেয়েটি বুকপকেটে লুকিয়ে রাখা জোনাকপোকার বন্ধদুয়ার খুলে দিল। ছেলেটি সবিস্ময়ে চেয়ে রইল আকাশভাঙার দিন চেয়ে। মেয়েটি সমুদ্রস্নানের পূর্বাভাসে উঠে দাঁড়াল। ছেলেটি হাঁটুভাঙা নদীর মতন পড়ে রইল ডাঙায়।Read More →

Ghor - Ahmed Firoze

ঘর আহমেদ ফিরোজ —বাবা আমাকেও কি চলে যেতে হবে? —বড়দি, মেজদি তাদের কথা মনে পড়ে তোমার? —আমি যখন অনেক ছোট তখনই ভালো ছিলাম। বড়দি মাটি দিয়ে ঘর বানাত, আর আমি ভেঙে দিতাম। অমনি মেজদির থাপ্পড়, পিঠে পাঁচাঙ্গুলের দাগ বসে যেত। —তোমার মনে আছে বাবা, গত বর্ষায় আমার জ্বর হলো, আর অমনি তুমি ডাক্তার-কবিরাজ কত-কি করলে। অবশেষে ডাক্তার কী বলল? ‘আপনার মেয়ের তেমন কিছু হয়নি, এই একটু-আধটু জ্বর। বৃষ্টিতে ভিজলে এমন তো হবেই।’ সেই থেকে তুমি বৃষ্টিতে ভিজতে দাও না। তুমি ভাবো—ভিজলেই বুঝি জ্বর আসে? আচ্ছা, তবে তোমার কেন জ্বর হয়? তুমি তো আর বৃষ্টিতে ভেজ না। নাকি তুমিও চুপিচুপি আমার মতো ভিজ? —তোমার সে কথাRead More →

I like it - Ahmed Firoze

আই লাইক ইট আহমেদ ফিরোজ আপনি আরিফ ভাইয়ার বন্ধু! ও বুঝতে পেরেছি, আপনি সোহেল ভাইয়া। কতদূর থেকে এসেছেন? আমারও না খুব ইচ্ছে করে দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে, পারি না, পারি না কেন জানেন, আমি যে মেয়ে, আমার তো একা বাইরে যেতে নেই, আর দূরে? তা তো একেবারেই নয়, চারদুয়ারী ঘর আর চৌকাঠ আমার ঠিকানা। আপনি দাঁড়িয়ে কেন, বসুন। এই দ্যাখেন আপনাকে দাঁড় করিয়ে রেখে কী-সব বকছি। আপনি বিরক্ত হন নি তো? ট্রেনে এসেছেন বুঝি, আপনার তো ট্রেন জার্নি খুবই প্রিয়। তা আসতে কষ্ট হয় নি তো? জানেন, আমরাও না একবার গ্রামে গিয়েছিলাম—ট্রেনে চড়ে। কী-যে ভাল্লাগে, কিন্তু কী জানেন, আমাদের সেবার বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল। আন্তঃনগরRead More →