Mrityuvoy - Ahmed-Firoze

মৃত্যুভয় আহমেদ ফিরোজ ঘুমুতে যাবার আগে জেগে ওঠার খাটুনি অসহ্য হয়ে উঠছে, আমি আর বেঁচে থাকতে পারছি না অথচ, আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়; শুধু কষ্ট আর নিঃসঙ্গতা তাড়া করছে যন্ত্রণা পাচ্ছি নিজে তবু বলছি না এ-জীবন চাই না। পৃথিবীতে আমার মতন সুখী আর কেউ নেই কখনো এমন সত্যি করে বুঝিনি আমার ঈশ্বর, স্বর্গীয় বন্ধু, সেও একা ভীষণ। একজন মানুষ স্নেহ আছে ভালোবাসা আছে আছে বন্ধুত্ব, তবু সে জুয়াড়ি স্বপ্নের কাছে বন্দি। তৃপ্তিহীন আত্মা অমৃতেরে দেয় সালাম আত্মার গহনে গন্ধ ঢালে চিরন্তনতার শাশ্বত সৌরভ কৌটো করে রাখে সংগোপনে ভুলে যাওয়া কোনো ধূপদানি জ্বলে রাতভর অসীমের গহ্বরে অদৃশ্য মায়াজাল যেন উদ্ভ্রান্ত উদ্বাস্তু। ঘুমুতে যাবার আগে কাগজে বিদায়পত্রRead More →

Rup - Ahmed Firoze

রূপ আহমেদ ফিরোজ গ্রামো মেঠোপথ, দূর থেকে একদল লোককে চোখে পড়ল। নারী-পুরুষ—বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর থেকে সববয়সের মানুষের যাত্রারধ্বনি। তারা একসময় সোজা না-গিয়ে পশ্চিমদিকের বিস্তৃত ধানক্ষেতের মোটা আল ধরে হাঁটতে থাকে। বিকেলের লাল আলো সন্ধ্যার কুয়াশাবর্ণে ক্রমশ হাবুডুবু খেতে থাকে। মাঠ পেরিয়েই জঙ্গলাকীর্ণ একটি পোড়োবাড়ি। বাড়িঘর বলতে এখন আর কিছুই নেই—ইট-কাঠের ভস্মাংশ ছাড়া। মাঝখানে ফাঁকা জায়গা, পাশেই একটা খুপরি মতো ঘর। এ-ঘরেই চৌত্রিশ বছর ধরে উত্তরাধিকারসূত্রে দূরাত্মীয় একজন বৃদ্ধা বাস করত, তার গায়ের রং তামাটে আর চোখদুটি ছিল ভয়ঙ্কর উজ্জ্বল। সে-ও এখন আর আর নেই, গত বছরের বন্যায় ভেলা করে মাছ ধরতে গিয়ে ফেরে হয়নি। অযত্ন পতিতকরণে ছাপরা ঘরের এফোঁড়-ওফোঁড় দেখা যায়। আশপাশের গ্রাম থেকে এইRead More →

Camera o Chokh - Ahmed Firoze

ক্যামেরা ও চোখ আহমেদ ফিরোজ ক্যামেরার রেঞ্জের ভেতরে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার ওপাশে। পর পর দুটো মিনিবাস ক্রস করায় ঠিক দেখা যাচ্ছিল না। এর পর হঠাৎ-ই হাঁটা শুরু করল দক্ষিণ দিকে। কারওয়ানবাজারের এই জায়গাটায় ভিড় একটু বেশিই। সবসময় ট্রাফিকজট লেগেই থাকে। একটি পত্রিকা হাউজে পুনরায় ছেলেটিকে দেখা গেল, ফিচার সম্পাদক বলছেন—অন্য দু’তিনজন মিলে গিলছেন। দূর থেকে কিছুই শোনা যাচ্ছিল না। কাছাকাছি হলে, ছেলেটি কিছু প্লান শেয়ার করছিল সম্পাদকের সঙ্গে; নতুন কি কিছু করা যায়? এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলো বুড়ো সাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে ধারাবাহিকভাবে। অশীতিপর চল্লিশ দশকের অন্যতম কবি আবুল হোসেনের নাম প্রথমেই উঠে এলো। কিন্তু বাধ সাধলো লাবণ্য, সে বলল—আবুল হোসেন নয়, মিজানুরRead More →

Ghor - Ahmed Firoze

ঘর আহমেদ ফিরোজ —বাবা আমাকেও কি চলে যেতে হবে? —বড়দি, মেজদি তাদের কথা মনে পড়ে তোমার? —আমি যখন অনেক ছোট তখনই ভালো ছিলাম। বড়দি মাটি দিয়ে ঘর বানাত, আর আমি ভেঙে দিতাম। অমনি মেজদির থাপ্পড়, পিঠে পাঁচাঙ্গুলের দাগ বসে যেত। —তোমার মনে আছে বাবা, গত বর্ষায় আমার জ্বর হলো, আর অমনি তুমি ডাক্তার-কবিরাজ কত-কি করলে। অবশেষে ডাক্তার কী বলল? ‘আপনার মেয়ের তেমন কিছু হয়নি, এই একটু-আধটু জ্বর। বৃষ্টিতে ভিজলে এমন তো হবেই।’ সেই থেকে তুমি বৃষ্টিতে ভিজতে দাও না। তুমি ভাবো—ভিজলেই বুঝি জ্বর আসে? আচ্ছা, তবে তোমার কেন জ্বর হয়? তুমি তো আর বৃষ্টিতে ভেজ না। নাকি তুমিও চুপিচুপি আমার মতো ভিজ? —তোমার সে কথাRead More →

I like it - Ahmed Firoze

আই লাইক ইট আহমেদ ফিরোজ আপনি আরিফ ভাইয়ার বন্ধু! ও বুঝতে পেরেছি, আপনি সোহেল ভাইয়া। কতদূর থেকে এসেছেন? আমারও না খুব ইচ্ছে করে দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে, পারি না, পারি না কেন জানেন, আমি যে মেয়ে, আমার তো একা বাইরে যেতে নেই, আর দূরে? তা তো একেবারেই নয়, চারদুয়ারী ঘর আর চৌকাঠ আমার ঠিকানা। আপনি দাঁড়িয়ে কেন, বসুন। এই দ্যাখেন আপনাকে দাঁড় করিয়ে রেখে কী-সব বকছি। আপনি বিরক্ত হন নি তো? ট্রেনে এসেছেন বুঝি, আপনার তো ট্রেন জার্নি খুবই প্রিয়। তা আসতে কষ্ট হয় নি তো? জানেন, আমরাও না একবার গ্রামে গিয়েছিলাম—ট্রেনে চড়ে। কী-যে ভাল্লাগে, কিন্তু কী জানেন, আমাদের সেবার বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল। আন্তঃনগরRead More →