সাঁওতালি ট্র্যাজেডি, বাংলাদেশ ২০১৬
আহমেদ ফিরোজ
ঈশ্বর সাঁওতালদের ভুলে গেছেন
সাঁওতালি গ্রামে কান্না আর হাহাকার
স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের তাণ্ডবে তারা স্তম্ভিত
নিহত হয়েছেন হেমব্রম, মার্ডি, রমেশ;
সাঁওতাল নারী, কখনো তোমার খোঁজে কেউ মর্গে যাবে না
সন্ত্রাসী, পুলিশের অত্যাচার আর গ্রেপ্তারের ভয়ে
খুঁজে পাওয়া যাবে না স্বজনদের,
সাঁওতালেরা বিভীষিকায় থাক স্তব্ধ
আমি রাষ্ট্র বলছি,
গ্রামে আগুন লাগানো হয়েছে
পুলিশ নিশ্চুপ
কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তারা জানে না!
মাদারপুর, জয়পুরে লুটপাট চালানো হলো প্রকাশ্যে
ভয় ও আতঙ্কে গ্রামের মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে গির্জাঘরে
এখানে ঈশ্বর আছো, নাকি দেখছো
মানুষ কত ভয়ংকর ও বর্বর হতে পারে,
কিস্কু, চরন হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন
বৃদ্ধা মুংলি সরেন বুলেটবিদ্ধ,
চোখে বুলেটবিদ্ধ দ্বিজেন টুডু
মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর একজন কৃষক
নিষ্ঠুর নগরে পুলিশি হাতকড়ায় বন্দি
রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বেডের সঙ্গে হাসপাতালে
ওদিকে, শিশুর মুখের খাবার কেড়ে নেয়া হয়েছে
বড়রা লবণ-চা খেয়ে দিন পার করছে…
দেবতা সিংবোঙা দেখছো কী?
গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক রাষ্ট্র নেই
তোমার সন্তানেরা অধিগ্রহণ নামক দখলের কবলে
ছেলেমেয়েসহ এদেশে সম্মান নিয়ে তারা থাকতে পারবে কী?
গরিব সাঁওতাল কৃষক-শ্রমিক-কৃষাণীর কান্না
সরকারের কানে পৌঁছবে কী?
সিংবোঙা, সিংবোঙা
জবাব পাঠাও, নয় তো দেবতাসন ছাড়ো…